২০২২ সালে সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমত পাশে দাঁড়াতে (International Quran Recitation Association – IQRA) আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা-(ইক্বরা সংস্থা) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। বন্যার্তদের সহায়তায় ফান্ড গঠনের জন্য ইক্বরা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণা করার পর দেশ ও বিদেশ হতে শুভাকাঙ্ক্ষীগণ এই উদ্যোগে ইক্বরা সংস্থা’র আহবানে সাড়া দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন।
‘ইক্বরা টীম’ সিলেট শহর থেকে ১৫ কি.মি. দূরে লামাকাজী মীরেরবাগ, ফতেহপুর ফুলকুচি, খালপাড়, বেগমপুর, ইসলামপুর, খাসেরগাঁও, বিশ্বনাথ, আমতল, গোবিন্দগঞ্জ, ছাগলপাড়া এলাকাসমূহে সর্বপ্রথম খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে গমন করে।
‘ইক্বরা টীম’নেত্রকোনা জেলার ৪টি পৃথক স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম, সনাতন, গারো উপজাতিসহ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মাঝে উপহার সামগ্রী এবং বন্যা পরবর্তী ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য নগদ অর্থ প্রদান করে।
কুড়িগ্রামে বন্যার্তদের জন্য ইক্বরা সংস্থা এর পক্ষ থেকে নাগেশ্বর উপজেলা ও কচাকাটা উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়ন, নারায়নপুর ইউনিয়নের কয়েকটি দুর্গম ও প্রত্যন্ত গ্রামে বস্ত্র, শিশুখাদ্য ও নগদ লক্ষাধিক টাকা উপহার প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে কুড়িগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ইমাম/মু’আযযিন সাহেব আছেন যারা কোন ধরণের সহায়তা পাননি কারো কাছে, ইক্বরা সংস্থা কর্তব্য মনে করে সাধ্যমত তাদেরকে হাদিয়া প্রদান করেছে।
ইক্বরা সংস্থা ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিলেট, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় বন্যায় আক্রান্ত কয়েক হাজার মানুষ যাতে করে ঈদের দিন অন্তত গোশতের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে সাধ্যমত তাদের মাঝে গরু ও খাশির গোশত বিতরণ করেছে।
ইনশাআল্লাহ খুব শীগ্রই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাবলম্বী ও পূনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করবে ইক্বরা সংস্থা।