বিশুদ্ধ কুরআন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও মসজিদ কমপ্লেক্সের জন্য স্থায়ী জমি ক্রয় এবং মানবতার সেবায় এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে শরীক হওয়ার আহবান
আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা) বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াত প্রচার, শিক্ষা প্রদান ও মানবতার সেবায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধনপ্রাপ্ত একটি সেবামূলক অলাভজনক সংস্থা। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থা প্রতি বছর সমগ্র বাংলাদেশে বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াতের প্রচারে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। এ সংস্থার অধীনে ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও স্বতন্ত্র ইলমে ক্বিরাত এর প্রতিষ্ঠান মা’হাদুল ক্বিরাত বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে যেখানে এদেশের প্রায় সকল ক্বারীগণ, হাফেযে কুরআনগণ, অসংখ্য উলামায়ে কেরাম, খতীব/ইমাম/শিক্ষকগণ, সমাজের সকল স্তরের সকল পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াতের প্রশিক্ষণ নিয়ে সুনামের সাথে দেশে ও প্রবাসে কাজ করছেন।
সুদীর্ঘ ৫০ বছরের এই পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন স্থানে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে দেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এখানে অধ্যয়ন করছে।
কুরআন তিলাওয়াতের শিক্ষা প্রদান ও প্রচারের এই মহতি কার্যক্রমটিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা একটি বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যা হলো অত্র প্রতিষ্ঠানটিকে স্থায়ীকরণের উদ্দেশ্যে নিজস্ব একটি প্লট/জমি ক্রয় করা যেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য ভবনের পাশাপাশি একই সাথে একটি মসজিদ কমপ্লেক্স থাকবে ইনশা’আল্লাহ।
قَالَ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ,من بني مسجداً لله تعالي بني الله له بيتا في الجنة (رَوَاهُ مُسْلِمٌ)
রসুলুল্লহ (স.) ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে মাসজিদ প্রতিষ্ঠা করবে, তার জন্য আল্লাহ জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করবেন (সহীহ মুসলিম)।
আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা) একইসাথে মানবতার সেবায়ও কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে নির্যাতিত, নিপীড়িত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেবায় ৫০১টি রোহিঙ্গা পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করে তাদের খাদ্য সামগ্রী, আর্থিক অনুদান, মসজিদ নির্মাণ, ইমাম সাহেবের সম্মাানী, বিশুদ্ধ পানির টিঊবয়েল, শৌচাগার, ঔষধ সামগ্রী, কুরআন মাজীদ ও কুরআন শিক্ষা বইসহ আনুষঙ্গিক সমস্ত প্রয়োজনের ব্যবস্থা করে ইক্বরা টীম এ কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকে। এছাড়া ইক্বরা’র মানব সেবা ফান্ড বিভিন্ন সময় অসচ্ছলদের চিকিৎসায় আর্থিক অনুদান, অসামর্থ্যবানদের বিবাহে সহযোগিতা, বিভিন্ন মাদরাসায় ইয়াতীমদের খাদ্যের জন্য গবাদিপশু প্রদান করে পাশে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের অধিক জনসংখ্যার এদেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাওয়া মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কম। প্রায় সময় চিকিৎসা সেবার অন্যতম প্রয়োজন হয়ে ওঠে একটি এ্যাম্বুলেন্স যা সংখ্যায় অপর্যাপ্ত থাকা ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় অসংখ্য রোগী মুমূর্ষ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ লক্ষ্যে ‘ইক্বরা’ অতি শীগ্রই বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সেবায় নিয়োজিত হবে ইনশা’আল্লাহ।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله تعالى عنه, أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ, إِذَا مَاتَ ابنُ آدم انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ : صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أو عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ (رَوَاهُ مُسْلِمٌ)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রসুলুল্লহ (স.) ইরশাদ করেছেন- ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তিনটি বস্তু ছাড়া সবকিছু তার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়, ১) সদকায়ে জারিয়া, ২) ঐ ইলম (জ্ঞান) যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়েছে, ৩) নেককার সন্তান যে তার জন্য দু’আ করে (সহীহ মুসলিম)।
এই মহতি কার্যক্রমের খিদমতে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আপনার আর্থিক সহযোগিতা ও পরামর্শ আমাদের একান্ত কাম্য। এই বৃহৎ পরিকল্পনায় আপনি যেভাবে অংশীদার হতে পারেন-
- মসজিদ কমপ্লেক্স ও কুরআন ইন্সটিটিউট-এর জন্য এক বর্গফুট জমির মূল্য প্রদান করে = ৫,৫৫৫/- (পাঁচ হাজার পাঁচশত পঞ্চান্ন টাকা)।
- এক-শতক জমির মূল্য প্রদান করে।
- এক-কাঠা জমির মূল্য প্রদান করে।
- মানবতার সেবায় এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে এ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ে যেকোনো মূল্য প্রদান করে।
- বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে যেকোনো অনুদান দিয়ে।
- মসজিদ/মাদ্রাসা/গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের উদ্দেশ্যে টিউবওয়েল/স্থায়ী লাইন/ওযুখানা নির্মাণে সহযোগিতা করে।
- দরিদ্র/দুস্থদের চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা ও হুইল চেয়ার প্রদান করে।
- স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্দেশ্যে গবাদিপশু/সেলাই মেশিন/রিকশা/ভ্যান ইত্যাদি প্রদান করে।
- সংস্থার সকল কার্যক্রমের কল্যাণে আজীবন সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) এককালীন অনুদান প্রদান করে।
- অথবা এই মহতি কার্যক্রমে শরিক হতে যে কোনো পরিমান অনুদান প্রদান করে।
নিজের জন্য, কবরবাসী পিতা-মাতা, সন্তানসন্ততি, আত্মীয়-স্বজনদের রূহের ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে মসজিদ কমপ্লেক্স, কুরআন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট এবং এ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ে অনুদান দিয়ে সহযোগিতা করে তার পরিপূর্ণ সাওয়াব কবরে শায়িত হয়ে সদকায়ে জারিয়া ও নাজাতের উসিলা হিসেবে পেতে থাকবেন ইনশা’আল্লাহ।
আপনার কষ্টার্জিত দান করা প্রতিটি টাকা শরিয়তসম্মতভাবে ব্যয় করতে আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা) ওয়াদাবদ্ধ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সদকায়ে জারিয়ায় অংশগ্রহণ করার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদের দানকে সদকায়ে জারিয়া ও নাজাতের উসিলা হিসেবে কবুল করুন।
আজীবন সদস্য
সংস্থার সকল কার্যক্রমের কল্যাণে আজীবন সদস্য হিসেবে ন্যূনতম দশ হাজার টাকা এককালীন অনুদান প্রদান করে।
দাতা সদস্য
সংস্থার সকল কার্যক্রমের কল্যাণে দাতা সদস্য হিসেবে যেকোনো পরিমাণ অনুদান প্রদান করে।
‘অনুদান পাঠানোর পদ্ধতি’
(১) সরাসরি আমাদের ঠিকানায়: ৪৩ বি. সি. দাস স্ট্রীট, রিচমন্ড রজনীগন্ধা, গ্রাউন্ড ফ্লোর, আজিমপুর, লালবাগ, ঢাকা-১২০৫।
(২) আমাদের সংস্থার প্রতিনিধি সরাসরি আপনার বাসা/নির্ধারিত স্থানে গিয়ে সংগ্রহ করবেন।
(৩) বিকাশ/নগদ/উপায় (পার্সোনাল): +88 018 7777 0808.
রকেট (পার্সোনাল): +88 018 7777 08080.
(৪) ব্যাংক হিসাব:
- Acc/Name: Mahadul Qirat Bangladesh
Acc/No: 20503280201202915
Islami Bank Bangladesh Limited
Branch: Lalbagh, Dhaka.
Swift Code: IBBLBDDH
Routing Number: 125 273 820
- Acc/Name: Mahadul Qirat Training Institute
Acc/No: 1781220000103
Al-Arafah Islami Bank Limited
Branch: SignBoard, Dhaka.
Swift Code: ALAR BD DH
Routing Number: 015670320